জিমি নিশাম চাইলে ফুটবলেও হয়তো ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন! তামিম ইকবালকে আউট করতে যা দেখালেন, তাতে নিখুঁত পাস দেওয়ার দক্ষতা ভালোই দেখালেন এই কিউই অলরাউন্ডার। নিশামের বল খেলেই দৌড় দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। তাতে সাড়া দিয়ে স্ট্রাইকিং প্রান্তে যেতে চেয়েছিলেন তামিম।
কিন্তু ক্রিকেট বলেই দারুণ এক শট নিলেন নিশাম। তামিম নিরাপদে পৌছানোর আগেই স্টাম্প ভেঙে গেল সে শটে। ৭৮ রানে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান বাংলাদেশের। ১৯ রানে অপরাজিত মুশফিক।
এর আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের ৫০তম ফিফটি পেয়েছেন তামিম। ১০৮ বলের ইনিংসে ১১টি চার মারা তামিম আজ ইতিবাচক ব্যাটিং করছিলেন। যখনই রানের গতি বাড়ানোর সময়, তখনই নিশামের ফুটবল দক্ষতা কাল হয়ে উঠল তাঁর জন্য।
দলের প্রথম ৩০ রানের ২০-ই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। শুধু এটুকু পড়লে মনে হতে পারে, দারুণ ইতিবাচক ব্যাটিং। কিন্তু যখন গল্পের পুরোটা হদিস মেলে তখন আর অতটা ইতিবাচক মনে হয় না। এই রান তুলতেই যে ১১ ওভার দরকার হলো বাংলাদেশের।
তবু একাদশতম ওভারের প্রথম বলটি একটু স্বস্তি এনে দিল বাংলাদেশকে। পাওয়ার প্লেতে এক উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ মাত্র ২৬ রান তুলেছিল। এক প্রান্তে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে তামিম সাবলীল ব্যাট করলেও খোলসেবন্দী ছিলেন সৌম্য সরকার।
কাইল জেমিসনের বলটা ফুল লেংথে ছিল। দিনের প্রথম আত্মবিশ্বাসী শট খেলে সেটা মিড অফের পাশ দিয়ে সীমানায় পাঠালেন সৌম্য। আগের ২১ বলে ২ রান করা সৌম্যের রান মুহূর্তেই তিন গুণ হলো।
পরের বলেই তিন রান তুললেন সৌম্য। ইনিংসে মাত্র তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের রান রেট তিন ছাড়াল। প্রথমবার ছাড়িয়েছিল প্রথম ওভারে, যখন ট্রেন্ট বোল্টের চতুর্থ বলেই চার মেরেছিলেন তামিম। দ্বিতীয়বার ছাড়াতে ছাড়াতে অস্টম ওভার লেগে গিয়েছিল।
৭ ওভারে মাত্র ১৪ রান তুলে বাংলাদেশ তখন ধুকছিল। নিজের প্রথম তিন ওভারের দুই মেডেন দিয়ে লিটন দাসকে তুলে নেওয়া ম্যাট হেনরির বোলিং ফিগার একটু স্বাভাবিক করতে চাইলেন তামিম। এক বল বিরতি দিয়ে দিয়ে তিন চারে ১২ রান তুলে নিলেন সে ওভারে। ৮ ওভারে ২৬ রান তোলা বাংলাদেশ পরের দুই ওভারে কোনো রান পায়নি।