মো.মাইন উদ্দীন,চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য কমছে। এ কারণে গ্রাহক হয়রানিও কমেছে, বেড়েছে সেবার মান। আর পাসপোর্ট অফিসে বসানো হয়েছে তথ্যকেন্দ্র । দালাল সন্দেহ হলেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পাচঁলাইশ পাসপোর্ট অফিসের ১৮ জন কর্মকর্তা কর্মচারী বিরতিহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। জমা দেওয়া আবেদন ফরম যাচাই বাছাই করে ১০২ রুমে।ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করছে ১০৩ নং রুমে। বায়ো এনরোলমেন্ট করছে ১০৫,১০৬, ১০৭ নং রুমে। অফিসে প্রবেশ করেত তথ্য কেন্দ্র রয়েছে।
সরেজমিন ২০৩ নং রুমে উপ পরিচাল মাসুম হাসান’র কার্যালয় দেখা যায় কাউকে মোবাইলে সেবা দিচ্ছেন আবার গ্রহকেরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দেখা করলে করছেন দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা ।
প্রতিটি রুমে কোন ঝামেলা ছাড়া সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে গ্রাহকরা সেবা নিচ্ছে।বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় সেবা দিতে পেরে তারা খুশি।
আনোয়ারা থেকে পাসপোর্ট করতে আসা মো.জিয়াউল হক জিয়া বলেন, অফিসে অনেক হয়রানি শিকার হতে হয় শুনেছি।কিন্তু এখানে এসে তা উল্টা কোন ঝামেলা ছাড়া ফরম জমা দিয়েছি। আমি মুগ্ধ হয়েছি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সুন্দর ব্যবহারে।
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মাসুম হাসান জানান, গ্রাহক হয়রানি বন্ধে তিনি সচেষ্ট। এ কারণে অফিসে অনুসন্ধান কেন্দ্র, তথ্যকেন্দ্র, হেল্পডেস্ক, নোটিশ বোর্ড, সিটিজেন চার্টার, অভিযোগ বক্স ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থপন করা হয়েছে। দিনের জমাকৃত আবেদন দিনেই পুলিশি তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। অসুস্থ, নারী, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের বিকল্প কাউন্টারের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট অফিসে দালালদের স্থান নেই।
বোয়ালখালী এলাকার রোজী আক্তার লিমাা জানান, দালাল বিভিন্ন ভুল তথ্য দিয়ে আমার থেকে অতিরিক্ত অর্থ দাবী করে,এখন নিজে সরকারি ফ্রি ব্যাংকে জমা দিয়ে কোন ঝামেলা ছাড়া ফরম জমা দিয়েছি।
সাতকানিয়ার মো.শুক্কুর বিদেশে যেতে একটি পাসপোর্ট করতে পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে হেল্পডেস্ক থেকে সহায়তা নিয়ে নিজেই ফরম পূরণ করেছেন । পাসপোর্ট করতে কোনো ঝামেলা হয়নি। এখন দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হওয়ায় বেড়েছে সেবার মান।