চট্টগ্রাম প্রতিনিদিধি.
এ মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করাই হচ্ছে সরকারের চ্যালেঞ্জ। এই দুটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কাজের সুসমন্বয় ও দলের ঐক্য আরও সুসংহত করা জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে এক উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঢাকায় সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৩০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার লিংক রোড হতে উনচি প্রাং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত সড়কের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় করোনার অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে ঢিলেঢালাভাব ও উদাসীনতার বিরুদ্ধে লকডাউন নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালন করার নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ সময় ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লড়াইয়ের সাহসী কান্ডারি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
সবকিছুতে সরকারের ওপর দায় চাপানোর মধ্য দিয়ে বিএনপি তাদের দায়িত্বহীনতা প্রকাশ করতে চায় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব লঞ্চডুবির সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মিলিয়ে ফেলেছেন। কোনটি সরকারের দায়, কোনটি নয়, সেটিও বিবেচনায় নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সমালোচনা বিএনপিকে এমনই অন্ধ করেছে যে এখন কালবৈশাখীর মৃত্যুর দায়ও তারা সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো দেখা যাবে, বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায়ও সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।
শেখ হাসিনা সরকার জনঘনিষ্ঠ যেকোনো ইস্যুতে সবার আগে সাড়া (রেসপন্স) দেয় বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দুর্যোগে মানুষের পাশে সবার আগে সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যায় আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিএনপি কী করেছে? তা দেখলেই তাদের মিথ্যাচার আর অপরাজনীতির পাশাপাশি জনগণের প্রতি দায়িত্বহীনতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ঘরে বসে লিপ-সার্ভিস দিয়েই বিএনপি নিজেদের দায়িত্ব শেষ করে।
একটি রাজনৈতিক দলের এমন পলায়ন মনোবৃত্তি ও জনকল্যাণে নিস্পৃহ ভাব জনগণের প্রতি তাদের (বিএনপি) প্রতিশ্রুতিকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে, বিএনপির উদ্দেশে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।