যুক্তরাষ্ট্র সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছে ঢাকা সফররত দেশটির প্রতিনিধিদল। তাদের বরাত দিয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘উনারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) পরিষ্কারভাবেই বলেছেন, সব দেশেই অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চান। গতকাল আমার সচিব ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিমকে যেভাবে বলেছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে আইনি কাঠামো সেটা বাংলাদেশে আছে। যে আইনগুলো এ ব্যাপারে সহায়ক, আমি সেগুলোর কথা উল্লেখ করেছি।’
আনিসুল হক বলেন, আমরা যে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের যে আইনটি করেছি, সেটি সম্বন্ধে কথা বলেছি। এটিও বলেছি, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আইন হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এই আইনটি করেছে। এছাড়া উপমহাদেশে অন্য কোনও দেশে এ আইন নেই, সেটিও আমি বলেছি।
ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আইনটি নিয়ে আমি আগেও যে কথা বলেছি, ঠিক সেই কথাগুলো আমি উনাদের আজ বলেছি। আগের মতো বলেছি যে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংশোধিত হবে।
‘তারা কিছু কিছু বিষয়ে বলেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেসব বিষয় নিয়ে তারা শুধু এটুকু বলেছেন, সুষ্ঠু তদন্ত হলে সেটা ভালো। আমি তাদের অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলেছি, বাংলাদেশ আগের সংস্কৃতি নাই যে, বিচার হবে না। বাংলাদেশে এখন যে কোনও অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার হয় এবং তাই হবে’ বলেও জানান মন্ত্রী।
তারা কোন বিষয়ে এ কথা বলেছেন জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, উনারা শহিদুল ইসলামের (গাজীপুরের শ্রমিক নেতা) মৃত্যু নিয়ে কথা বলেছেন। আমি এ কথাটাই বলেছি। এই পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেলি যেটি আলাপ করার সেই আলাপটাই করেছি।
মানবাধিকার নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
এসময় মার্কিন প্রতিনিধি দলে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) এশিয়া ব্যুরোর উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর উপস্থিত ছিলেন।