কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ পর্যন্ত পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে চার শিশুসহ পাঁচ জন মারা গেছেন।
সোমবার রাতের পর থেকে নদী ও খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে গ্রামে। জানা গেছে, জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু ও সদর উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় একশ গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
এতে এসব এলাকার দুই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। মাতামুহুরী ও বাকখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢলের তোড়ে মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর কমপক্ষে ১৫,টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাহাড়ি ঢলে চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, হারবাং, পুর্ববড় ভেওলা, বিএমচর, পশ্চিম বড়ো ভেওলা, চিরিঙ্গা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভা, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন, রামু উপজেলার গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া, কাউয়ার, রাজারকুল ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার্তদের সাহায্য কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। বন্যার্তদের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদেরকেও নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।