মানব জমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী আজ ” হাসিনার ক্ষমতার লোভ এবং ইতিহাসের রং বদল ” শিরোনামে লিখেছেন। যথারীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু নিম্নোক্ত অংশের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি —
” বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করতে গিয়ে একটি উগ্র ধর্মীয় শক্তির উত্থানকে সম্ভাব্য করে তোলেন। যার পরিণতিতে দেশটা উল্টো পথে যাত্রা শুরু করেছে। পশ্চিমা শক্তি এখন বলছে, এত দেখছি আফগানি হাওয়া। রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজগুলোর দিকে নজর দিলেই আলামত দেখতে পাবেন। ”
৫ আগস্ট পরেও একটি লেখায় তিনি একই কথা বলেছিলেন। তাঁর প্রতি সম্মান রেখে কষ্ট চেপে রেখেছি । উগ্র ধর্মীয় শক্তি উনি বাংলাদেশে কোথায় দেখলেন ? চরমপন্থার কোন স্থান ইসলামে নেই। কিছু বিভ্রান্ত বেওকুফদের ব্যাবহার করে আন্তর্জাতিক চক্র মুসলিম বিশ্বে অরাজকতা সৃষ্টি করে। আল কায়েদা , আইএস , জেএমবি এসবের উৎস একই। মূলধারার ইসলামী সংগঠন, ওলামায়ে কেরাম ও দেশপ্রেমিকদের সাথে এসবের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই। হলিআর্টিজান সহ ফেসিবাদের বিভিন্ন জঙ্গি নাটক নিয়ে তো সন্দেহ থাকার কথা নয়। হিলারি ক্লিনটনের স্বীকারুক্তি মতি ভাইর জানার কথা।
আদর্শিক দল ও সৎ রাজনৈতিক কর্মীর প্রতি তথা সাম্য ও নীতি নৈতিকতার ভিত্তিতে দেশ গড়ার দিকে মানুষের আগ্রহ বৃদ্বি ভুল হতে পারে না। বরং অন্ধ ইসলাম বিদ্বেষ আত্বঘাতী। বাংলাদেশে আধুনিক চিন্তা, মানবিকতা, মেধা ও যোগ্যতা নিয়ে ইসলামী রাজনীতি যারা করেন, তাদের বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখা উচিত। প্রবাসী সিলেটি অধ্যুষিত লন্ডনে আল্লামা সাঈদী সাহেবের মজার ছলে বলা কিছু শব্দ নিয়ে এক সময় অপরাজনীতি হয়েছিল। এজন্য সম্পাদক সাহেবের অনুশোচনা শুনিনি। অন্তত এ সময়ে কোন উস্কানী অথবা ফাঁদে জড়িয়ে পড়া কাম্য নয়।
৩৬ জুলাইর বিস্ময়কর সফল বিপ্লব বানচাল করতে তৃতীয় পক্ষের নতুন প্লট তৈরির অপচেষ্টা সক্রিয় আছে। ‘ র ‘এর বিভিন্ন স্তরের এজেন্ট নিয়ে
রিপোর্ট হয়েছে।মনে হয় ‘ সিআই ‘ নিয়ে অনুসন্ধান জরুরী হয়ে পড়েছে।
লিখেছেনঃ সিরাজুল ইসলাম শাহি্ন
কলামিস্ট, রাজনীতিবিদ।
sirajulislamshaheen@yahoo.com; 22/12/2024; London 10am.